মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
জাফলংয়ে চাঁদাবাজি : লুটেপুটে খাচ্ছে যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা

জাফলংয়ে চাঁদাবাজি : লুটেপুটে খাচ্ছে যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা

শোয়েব আহমদ
আজির উদ্দিন, সুহেল আহমদ, জাহিদ খান, পারভেজ ও রুবেল। জাফলংয়ে এলাকায় এক আতঙ্করে নাম। একজন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপর চার জন উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটিতে ছিলেন। সম্প্রতি চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাতের আধারে পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। ৫ আস্টের পর প্রকৃতি কন্যা জাফলংকে ধ্বংস করে তারাই লুটেপুটে খাচ্ছে !

শ্রমিকদের নাম মাত্র মূল্য দিয়ে বাকি টাকা নিচ্ছেন ভাগ বাটোয়ারা করে। আর এই ভাগে যুক্ত রয়েছেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহপরাণ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন, ইউপি সদস্য মো. কামাল আহমদ, আজাদ বক্স, ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি শ্রমিক লীগ নেতা সমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনর কিছু কর্মকর্তা। ফলে তারা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন এই ধ্বংসজজ্ঞ।

গত শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহর আটকে স্থানীয় পাথর ও বালু ব্যবসায়িদের নিয়ে বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন, গোয়াইনঘাট উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল আহমদ। তখন আজির উদ্দিন স্থানিয় পাথর ও বালু ব্যবসায়িদের নিয়ে গাড়িবহর ঘিরে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভে কোন শ্রমিককে দেখা যায়নি এখানে সবাই ছিলো পাথর ও বালু ব্যবসায়ি। উপদেষ্টাদের গাড়ি বহর আটকের কারণ জানাতে আজির প্রকাশ্যে এসে পাথর মহাল খুলে দেওয়ার দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেছেন।

আজির উদ্দিন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি। তার সাথে রয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলার যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জাহিদ খান, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সদস্য মো. কামাল আহমদ, পারভেজ, রুবেল। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় জাফলং এলাকায় বালু-পাথর উত্তোলনে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হয়। শ্রমিকদের দোহাই দিয়ে পাথর কোয়ারি থেকে চাঁদাবাজি যেনো তাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। তাদের কারণে জাফলংয়ে পর্যটকরা বিভিন্ন সময় হেনেস্তার শিঁকার হয়। এমকি পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনাও আছে।

জানা গেছে, আজির উদ্দিন ও জাহিদ খান গত (১৩ জুন) রাতে মামার বাজারে বসে পরিকল্পনা করে তাদের লোক জড়ো করে দুই উপদেষ্টাকে হেনেস্তা করতে চেয়েছিলো। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশের কথা বলে পাথর উত্তোলন বন্ধকরে রেখেছেন তাই তারা কোভে এমন কাজ করেছে বলে জানা যায়।

জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট, ঝুম পার ও চা-বাগান এলাকায় চলছে পাথর ও বালু উত্তোলন। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত পাথর ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি গাড়ি পাথর তুলতে স্থানীয়ভাবে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা, আর তা বিক্রি করা হয় ৩৪ থেকে ৩৬ হাজার টাকা করে। পরিবেশ বিধ্বংসী এই ধ্বংসজজ্ঞের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সভাপতি আজির উদ্দিন (২৬), ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি বহিষ্কৃত সুমন শিকদার (২৮), সহ সভাপতি বহিষ্কৃত পারভেজ শিকদার (৩০) ও রুবেল আহমেদ (২৭), পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সদস্য মো. কামাল আহমদ, ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি শ্রমিকলীগ নেতা সমেদ।

স্থানীয় এলাকাবাসি বলেন, ছাত্রদলের এই চাঁদাবাজদের হাতে প্রতিদিন পর্যটক সহ সাধারণ মানুষ লাঞ্চিত হচ্ছে। তাদেরকে চাঁদা না দিলে জাফলং ব্যবসা করা যায় না। আমরা ওদের বিচার চাই।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ জাফলং উপদেষ্টাদের সফর শেষে স্থানীয়দের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওতে আজিরকে বলতে দেখা গেছে, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজ তিনি (উপদেষ্টা রিজওয়ানা) ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে শ্রমিকদের রুটি রুজির পথ খুলে দেবেন। কিন্তু কিছু দালাল চক্র উনাকে ভুলভাল বুঝিয়ে তিনি শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে চলে গেছেন। শ্রমিকদের একটাই দাবি, ভাত ও কাজের অধিকার। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করে উনি উনার গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু আমরা এই এলাকার পাঁচ লাখ শ্রমিক আন্দোলন করে যাব। যতদিন ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে জাফলং পাথর কোয়ারি খুলে না দেওয়া হবে, ততদিন আন্দোলন করবো।’

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিলেটে নান্দনিক ও নৈসর্গিক আবেদন আছে, এমন জায়গা থেকে আমরা আর পাথর উত্তোলনে অনুমতি দেব না। এই জায়গা (জাফলং) প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, যারা এখানে পাথর উত্তোলন করেন, পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশের জন্য তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জাফলং একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। এখানকার পাথর কোয়ারিগুলো পরিবেশ ধ্বংস করছে। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। জাফলং পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটি করা গেলে এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, জাফলং ইসিএ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম অবৈধ কার্যক্রমের সাথে কেউ জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. ফায়জুল কবির খান বলেন, ‘অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর ক্রাশার মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে, যা অনিয়ম ও পরিবেশের জন্য হুমকি। তিনি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এসব ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।’ এছাড়া তিনি জাফলংয়ের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেন।

এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে সারি-গোয়াইন ঘাট নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত প্রবাহমান জাফলং-ডাউকি নদীকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হয়। গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ১১টি মৌজা নিয়ে মোট ১৪.৯৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকেও ইসিএ-এর আওতায় আনা হয়।

জাফলং চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাদে থাকার কারণে যুবদল নেতা জাহিদ খান ও ছাত্রদল নেতা আজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন রাতেই বহিস্কারাদেশ কার্যকর করেন। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শনোর নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে বলা হয়, বহিস্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গোয়াইনঘাট উপজেলার অধিনস্থ ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে অসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

সদ্য বহিস্কৃত যুবদল নেতা জাহিদকে প্রধান আসামী করে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বাকী ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে।

সদ্য বহিস্কৃত যুবদল নেতা জাহিদকে প্রধান আসামী করে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বাকী ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে।

রোববার (১৬ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনীভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করে বাধা ও অবৈধ ভাবে অবরোধ করে সরকারী কর্মচারীকে সরকারী কাজে বাধাদান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর ১২, তারিখ-১৫/০৬/২০২৫। মামলায় ১৪৩/৩৪১/৩৪২/১৮৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযুক্ত পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন বলেন, আমি কোন চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়, আমরা শ্রমিকের জন্য লড়াই সংগ্রম করেছি, করবো।

গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এডভোকেট সাহেদ আহমদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই। অপরাধি যেই হোক দল ও দেশের কাছে তারা কিছুই নয়।

গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমি তাদেরকে চিনিনা, সংবাদ প্রকাশের পর তাদেরকে চিনতে পেরেছি বিএপির বহিষ্কৃত নেতা স্বপন আহমদের ভাগনা আজির উদ্দিন সহ কয়েকজন অপকর্মের সাথে জড়িত। অপরাধি যেই হোক না কেন দলের উর্ধে কেউ নয়। সাথের সঠিক বিচার কামনা করি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর জাফলংকে পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই আবেদন করেছিল ২০১২ সালে। এরপর থেকে কয়েকটি ধাপে জাফলং থেকে বালু ও পাথর কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি জাফলংকে ‘ভূতাত্ত্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে জাফলংয়ের ২২ দশমিক ৫৯ একর জায়গাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়। উন্মুক্ত শিলাস্তর, চুনাপাথর সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য জাতীয় স্বার্থে ২৫ দশমিক ৫৯ একর ভূমিকে ভূতাত্ত্বিক ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়েছিল, ওই ভূমিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ভূতাত্ত্বিক জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকা ছাড়াও ভূতাত্ত্বিক ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় একটি ভূতাত্ত্বিক জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে গত বছর ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সেখানে ব্যাপক লুটপাটে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর উধাও হয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে সেনা সদস্যরাও যেতে পারেননি। এরপর থেকে জাফলংয়ে বালু ও পাথর লুটপাট চলছে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo