মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
সিলেটে বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক সিলেটে আবাসিক হোটেলে ডিবি পুলিশের অভিযান, ৫ নারী-পুরুষ গ্রেফতার বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকে হেনস্থা, সাবেক চেয়ারম্যানের সাজা সিলেটে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ছাত‌কে জালিয়াতি করে হাওরে বাঁধের টাকা তোলার অ‌ভি‌যোগ হবিগঞ্জে বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, হেলপার গ্রেপ্তার সিলেটের হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ নরশিংটিলা পঞ্চায়েত কমিটি গঠন : সভাপতি মঈনুল, সাধারণ সম্পাদক দিপু জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ফোরাম সিলেট’র নিন্দা ও প্রতিবাদ জাফলংয়ে চাঁদাবাজি : লুটেপুটে খাচ্ছে যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা
ছাত‌কে জালিয়াতি করে হাওরে বাঁধের টাকা তোলার অ‌ভি‌যোগ

ছাত‌কে জালিয়াতি করে হাওরে বাঁধের টাকা তোলার অ‌ভি‌যোগ

ছাতক প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতকে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে দুই ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুটপাট ও আত্নসা‌তের অ‌ভি‌যোগ উঠেছে।

এ প্রক‌ল্পের লুটপা‌টের নেপথ্যে র‌য়ে‌ছে জাউয়াবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, ছাতক উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এনাম উদ্দিন ওরফে এনামুল হক। তার পুত্র পিআইসি ক‌মি‌টির সদস‌্য স‌চিব ও ইমাম হিসা‌বে রাখা হয়। এ ঘটনা নি‌য়ে উজেলাজু‌ড়েই আলোচনা ও সমা‌লোচনার ঝড় উঠে‌ছে।

এ ঘটনায় রোববার (১৫ জুন) বিকা‌লে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে উপজেলার চাউলির হাওরের ১৭নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্য পদে নাম ব্যবহার করা দুইজন কৃষক।

অভিযোগ কারীরা হলেন জাউয়া বাজার ইউনিয়নের জাউয়া গ্রামের আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদ। ১৭নং পিআইসির সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর ও সদস্য সচিব এহসানুল হকের বাড়িও জাউয়া গ্রা‌মে।

এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাবিটা প্রকল্পের। উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের চাউলির হাওরের বিনন্দপুর, কোনাপাড়া, বড়বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পটির কাজ ৯৭১ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধ ও মেরামত করা। এ প্রক‌ল্পের ক‌মি‌টি‌তে আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদের নাম র‌য়ে‌ছে। তারা প্রকল্প সম্পর্কে অবগত নন এবং কোনো কাগজে স্বাক্ষরও ক‌রে‌ননি। জালিয়াতি করে ১৭নং প্রকল্প কমিটির তালিকায় তাদের নাম ৪ ও ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং তাদের স্বাক্ষর জাল করে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্নসাতে ভুয়া বিল জমা দি‌য়ে উত্তোলন করা হয়েছে। বাস্তবে প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কোথাও কোনো মাটি ভরাট হয়নি। তারা কেউ পিআইসির কোনো বৈঠকে অংশ নেননি বা কোনো বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর দেননি।

অভিযোগে বলা হয়, পিআইসির সদস্যসচিব এহসানুল হক ও ৬নং সদস্য রেদওয়ানুল হক ফাহিম দুজনই আপন ভাই এবং প্রকৃত পরিচয় গোপন করে একজনকে কৃষক ও অন্যজনকে ইমাম দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী, অন্যজন কখনো কোনো মসজিদের ইমাম নয়।

এ বিষয়ে ১৭ নং পিআইসি সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর তার বিরু‌দ্ধে আনা অ‌ভি‌যোগ স‌ঠিক নয় বলে দাবি করেন।

এ ব‌্যাপা‌রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম অভি‌যোগ প্রা‌প্তির সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo