নিউজ মিরর ডেস্ক
সে এক ভয়ংকর মোটরসাইকেল চোর। দিনের বেলা সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরে টেইলারিং করতো। ভাড়া বাসায় বসবাস করতো শহরতলীর খাসা আমবাড়িতে পরিবার নিয়ে। এবার ধরা পড়লো তার অন্যরূপ। দীর্ঘদিন থেকে নীরবে চোখের নিমিষে দুই মিনিটে চুরি করতো মোটরসাইকেল।
সেগুলো বিক্রি করতো সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ আছিমপুরের বন্ধু আকাইদের কাছে। দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই চলছিলো ভয়ংকর চুরির কাজকর্ম। তবে এবার পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েছে সে, সাথে ধরা পড়েছে তার বাইকের ক্রেতা আকাইদুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে তারা আটকের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
ভয়ংকর সেই মোটরসাইকেল চোরের নাম কামরুল হাসান। সে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার মুমিনপুর গ্রামের আব্দুল মুকিতের ছেলে। আটককৃত অন্য চোর আকাইদুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ আছিমপুরের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিনে কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কামরুলকে ভাড়া বাসা থেকে আটক করে তার কাছে চুরির বিভিন্ন তথ্য পায় পুলিশ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য যে চুরির পাশাপাশি চোরাই মোটরসাইকেল কিনে বিক্রি করে আকাইদের ডেরায়, সেখানে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা। একের পর এক চোরাই বাইক বেরিয়ে আকাইদের কাছ থেকে। স্থানীয় লোকজনের রোষানলে পড়েন তারা। পরে পুলিশ চারটি চোরাই বাইক উদ্ধার করে আকাইদকে আটক করে নিয়ে আসে বিয়ানীবাজার থানায়।
পুরো সিন্ডিকেটকে ধরতে পুলিশ আটককৃতদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইবে বলে জানান বিয়ানীবাজার থানার ওসি মোঃ আশরাফ উজ্জামান। তিনি বলেন, থানাপুলিশের সমন্বিত কার্যক্রমের সুফল এটি। আসামীদের রিমান্ডে এনে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের পুরো তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা সম্ভব হচ্ছেনা।