নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেট নগরীতে ইসলাম উদ্দিন নামে গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধাকে মারধর করায় পুলিশের এক উপ পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই জসিম উদ্দিন সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসআই জসিমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আজকের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো ফজরের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে প্রশ্ন করেন, ‘এত সকালে দোকান খোলা কেন?’ কোনো জবাব দেওয়ার আগেই মারধর শুরু করেন।
ইসলাম উদ্দিন নিজেকে একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিলে এসআই জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস।’এরপর কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে মারতে তাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে পুলিশ সদস্যরা ইসলাম উদ্দিনকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট-এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন লামাবাজার এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। আন্দোলনে আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশা চালাতে না পারায় তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান দেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি, জুলাইযোদ্ধা ও তাদের সহযোদ্ধারা। তারা অবিলম্বে এসআই জসিম ও সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।