নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেট নগরীর দক্ষিণসুরমায় এক নারীকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২১ জুন দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। এতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার নভাগ কামালবাজার গ্রামের মৃত আবু সালের ছেলে আবু সালমান ওরফে আবুল, একই গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান নাজমুল, মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফাহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আরশ আলীর স্ত্রী মাহমুদা বেগম।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ সন্তানের জননী ভুক্তভোগীর স্বামী পঙ্গু। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন তিনি। গত ১৮ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভুক্তভোগীকে সহকর্মী গৃহপরিচারিকা মাহমুদা আরেকটি বাসার কাজের কথা বলেন। এরপর মাহমুদা ভুক্তভোগীকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে দেন, যেখানে তিন ব্যক্তি ছিল। প্রাইভেটকারের ভেতরে ওই নারীকে আপত্তিকর প্রস্তাবসহ তিন ব্যক্তি কয়েক দফায় শ্লীলতাহানি ঘটায়।
প্রাইভেটকারটি দক্ষিণ সুরমার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে গিয়ে থামে। পরে ওই নারীকে সেখোনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দুই সহযোগীকে অদূরে পাহারায় রেখে আবু সালমান ভুক্তভোগীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে পাহারায় থাকা অপর দুজন ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করে। পরে ওই নারীকে সেখানে রেখে চলে যায় তারা।
ভুক্তভোগী ভাড়া বাসায় ফিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন গত ২০ জুন ভুক্তভোগীকে সিলেট এমজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিজ সেন্টারে ভর্তি করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ২১ জুন ভুক্তভোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’