কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেট জেলার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই ব্রীজের নিচ এবং আশপাশ এলাকা ইজারা বহির্ভূত এলাকায় দিনে এবং রাতে বেপরোয়াভাবে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। গত কয়েকমাস থেকে ধলাই ব্রীজের নিচে বালুখেকোরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের তান্ডব। ইতিমধ্যে ব্রীজের সবকটি পায়ার কাছেই সৃষ্টি করা হয়েছে বড় বড় গভীর গর্ত। ঠিক পাশেই বিজিবি ক্যাম্প। বিজিবি ক্যাম্পের ২০০ গজ পাশ হতে বালু উত্তোলন করল্ওে অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বিজিবি। মাঝেমধ্যে, পুলিশ এখানে অভিযান চালালেও বন্ধ করা যাচ্ছে না বালুখেকোদের তান্ডব। ফলে আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন ধলাই নদীর দুই পারের মানুষেরা। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়তে পারেন ধলাইর পূর্বপারের বাসিন্দারা। সেতু ভেঙে পড়লে আবারো সেই পূরনো আমলের খেয়া পারাপারের ঝামেলায় পড়তে পারেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। সম্পতি সময়ে ধলাই নদীর বালুমহাল জেলা প্রশাসন লিজ দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ধলাই সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৯ জুলাই ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধলাই সেতু কলাবাড়ী ও এর আশেপাশ এলাকার মানুষ সড়কে অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ কারিদের অভিযোগ, এই সেতুটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। ধলাই নদীর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেতুটি, যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হুমায়ূন আহমদ বলেন, এই এলাকার একমাত্র প্রধান সংযোগ ধলাই সেতু এটা ধ্বংস হলে দু পারের মানুষ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায় ধলাই সেতুর উপরে রাস্তা বন্ধ করে অবরোধের ফলে বিভিন্ন শেণীপেশার মানুষ, পর্যটকসহ সবাই ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং , এলাকাবাসি বাঁধা দিতে গেলে তাদের দিকে পাথর ছোড়ে মারে বালুখেকোরা। পরবর্তীতে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার কে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, এই বিষয়ে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছি। যতদ্রুত সম্ভব সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে পরে তারা অবরোধ তুলে নেয়।