বড়লেখা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পরকিয়ার জেরে দেবর ও ভাবী মিলে সিএনজি অটোরিকশা চালক উজ্জল বিশ্বাসকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই উজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস (১৯) ও ছোট ভাই জন্টু বিশ্বাসকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। নিহত উজ্জল বিশ্বাস তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সুবোধ বিশ্বাসের ছেলে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান ও বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাসের সঙ্গে তার আপন ছোটভাই জন্টু বিশ্বাসের পরিকয়া চলছিল। বিষয়টি জেনে ফেলেন দিপনার স্বামী উজ্জল। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে উজ্জলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী দিপনা ও ছোট ভাই জন্টু। পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার রাতে যেকোনো এক সময় দিপনা ও জন্টু ঘুমন্ত অবস্থায় উজ্জল বিশ্বাসের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ি থেকে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়। রাতে বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বজনরা উজ্জলকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ভোরের দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে উজ্জলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম সোমবার বিকেলে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় নিহতের স্ত্রী দিপনা ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে নিহত উজ্জলের বাবা থানায় মামলা করেছেন।